রুমিন ফারহান বক্তব্য
ঘটনার বিচার দাবি, এনসিপির নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা ও রুমিন ফারহান
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বরাবরই নানা ঘটনার মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে ঘটনার বিচার দাবি ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র একটি ঘটনার এনসিপি নির্বাচন ২০২৫ প্রেক্ষিতে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনার ক্ষেত্র। দলটির পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানানো হলেও পাশাপাশি নির্বাচনী পরিবেশ বাংলাদেশনির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কার কথাও উঠে এসেছে। এ প্রেক্ষাপটে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট আইনজীবী রুমিন ফারহান স্পষ্ট বক্তব্য রেখে বলেছেন, “যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত না হয় এবং নির্বাচনী পরিবেশ অনুকূল না থাকে, তবে গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থা আরও ক্ষুণ্ন হবে।”
ঘটনার প্রেক্ষাপট
সম্প্রতি এনসিপির একটি স্থানীয় কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হন এবং দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দলীয় নেতারা অভিযোগ করেন, প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখেনি এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রশ্রয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
ঘটনার পরপরই এনসিপি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘটনার বিচার দাবি জানায়। তাদের বক্তব্য—গণতান্ত্রিক দেশে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করতে হলে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ও নির্বাচনী প্রচারণা নিরাপদ হতে হবে। অন্যথায় আগামী নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হবে।
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নির্বাচন সর্বদা উত্তেজনা ও বিতর্কের বিষয়। প্রতিবার নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলো প্রায় একই অভিযোগ তোলে—ভোটের পরিবেশ কি আসলেই সুষ্ঠু থাকবে? এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।
এনসিপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক সহিংসতা আসন্ন নির্বাচনের জন্য শুভ লক্ষণ নয়। নির্বাচনী মাঠে যদি প্রতিযোগিতা অবাধ না হয় এবং ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না যায়, তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
রুমিন ফারহানের মন্তব্য
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির অন্যতম তরুণ মুখ রুমিন ফারহান এ প্রসঙ্গে কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন—
“যে দেশে মানুষ ভোট দিতে ভয় পায়, সেখানে গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। যদি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হয়, তবে আসন্ন নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ হবে। নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ পদক্ষেপ নিতে হবে।”
তার মতে, কেবল একটি ঘটনার বিচারই নয়, বরং সামগ্রিকভাবে রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করা জরুরি। তা না হলে সাধারণ ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারায় এমন সহিংসতা ও বিচারহীনতা নতুন কিছু নয়। কিন্তু প্রতিবার নির্বাচনের আগে যদি একই পরিস্থিতি তৈরি হয়, তবে জনগণের আস্থা নষ্ট হয় এবং ভোটারদের অংশগ্রহণ কমে যায়।
তাদের মতে—
- ঘটনার বিচার দ্রুত না হলে সহিংসতার সংস্কৃতি আরও প্রোথিত হবে।
- নির্বাচনী পরিবেশে আস্থাহীনতা ভোটদানের হার কমিয়ে দিতে পারে।
- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতি প্রশ্ন তুলতে পারে।
গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ
একটি দেশের গণতন্ত্র সুসংহত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যদি বিরোধী দলের কর্মসূচি দমন করা হয় বা সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে জনগণের আস্থা ভেঙে পড়বে।
এনসিপির বিচার দাবির প্রেক্ষিতে সরকারের সামনে এখন দুটি বড় চ্যালেঞ্জ—
- অতিদ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত করা।
- নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা, যাতে প্রতিটি দল সমান সুযোগ পায়।
উপসংহার
ঘটনার বিচার দাবি ও নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা আসলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন। রুমিন ফারহানের বক্তব্য গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের মনের কথাই বহন করে। এখন দেখার বিষয় হলো—সরকার ও নির্বাচন কমিশন কতটা কার্যকরভাবে পদক্ষেপ নেয়।
গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ টিকিয়ে রাখতে হলে সহিংসতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। নইলে জনগণের আস্থা নষ্ট হবে, আর সেই আস্থা একবার ভেঙে গেলে তা পুনর্গঠন করা কঠিন হয়ে পড়ে।


iruzkinik ez:
Argitaratu iruzkina